
photo: DNA
মুম্বইতে কিছুদিন আগে ব্রিটিশ নাগরিক ৩২ বছরের জর্জ জনসনের মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার করে বসানো এই পেসমেকার বসানো হয়। বুকের বাঁ দিক থেকে গলার পিছন পর্যন্ত সংযুক্ত করা হয়েছে এই পেসমেকারের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার কারণে অফিসে বহুক্ষণ অঙ্কের হিসেব করতে হয় জর্জকে। এক বছর আগে থেকে হঠাত্ই ক্রনিক হেডেক শুরু হয় তাঁর। পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় অক্সিপিটাল নিউর্যালজিয়ায় আক্রান্ত তিনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরণের মাথা যন্ত্রণা মাইগ্রেনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়। অস্ত্রপচারের পর তাঁকে এখন শুধু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে একটি কয়েনের সাইজের সেন্সর প্যাড যা সংযোগ করা হয়েছে তাঁর বুকে লাগানো রিমোট কন্ট্রোলের সঙ্গে।
জর্জ বললেন, আমি যখনই বুঝতে পারি ব্যাথা ফিরে আসছে আমি বুকের সেন্সর প্যাডে হাত রাখি। আমার গলার পেছনের পেসমেকারে সাহায্যে আমার মাথার ব্যাথা কন্ট্রোল করে এই সেন্সর প্যাড। অল্প বয়সে আমার প্রায় সারাক্ষণই মাথা ধরে থাকত। একসময় সেটা চলে গিয়েছিল। কিন্তু গত বছর ফিরে আসে। ব্রিটেনে চিকিত্সার খরচ খুব বেশি হওয়ায় মুম্বইতে অস্ত্রপচার করার সিদ্ধান্ত নিই তখন। মুম্বইয়ের জসলোক হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রপচার করেন নিউরোসার্জন ড. পরেশ দোষী। ব্রিটেনে যে অস্ত্রপচারের খরচ পড়ত প্রায় ২২ লক্ষ, মুম্বইতে তা করাতে খরচ পড়েছে মাত্র ১১ লক্ষ টাকা।
0 comments:
Post a Comment