Friday, January 16, 2015

ভয় পেলে ভয় এড়াতে যা করবেন।


ভয় আমাদের আদিম সঙ্গী । সৃষ্টির শুরু থেকেই ভয় কে সাথে নিয়ে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে আছি।অতি সাহসী ব্যক্তিও কোনদিন বলতে পারবেনা যে সে ভয় পায়নি । পৃথিবীর নিয়মের বাইরে আমরা যা দেখি, তাইই আমাদের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে অতিরিক্ত ভয় অনেক সময় আপনার বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনি যদি বেশী ভয় পেয়ে নিজেকে বিপদে ফেলতে না চান, তো নিচের বিষয় গুলো জেনে নিতে পারেন :
¤ গভীর রাতে অল্প আলোতে গভীর ভাবে কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকবেন না, জানলা দিয়ে বাইরে তাকাবেন না, কোন ছায়ার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। আপনার দৃষ্টি ভ্রমের কারনে ভয় পেতে পারেন।
¤ গভীর রাতে একা কোন রুমে ঘুম আসছেনা, ভয়ভয় লাগছে, অধিক গরম লাগছে, সব শব্দ অনেক স্পষ্ট ভাবে কানে আসছে, স্থির থাকার চেষ্টা করুন, অযথা ভয় পাবেন না।
¤ কোন কারনে ভয় পেলে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, নিজের সৃষ্টিকর্তা কে ডাকুন, একটু ভেবে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।
¤ গভীর রাতে টয়লেটে গেলে শব্দ করে যাবেন। বা পা আগে দেওয়া ভালো।
¤ মাগরিবের সময় পুকুর পাড়, বাঁশঝাড়, তালগাছ, বটগাছ, সুপাড়ি গাছের আশেপাশে, বাসার ছাদ অথবা অন্ধকার রুমে থাকবেন না। আপনি এমন কিছু দেখে ফেলতে পারেন এই সময়ে, যা আপনি কখনো আর দেখতে চাইবেন না ।
¤ গভীর রাতে চার রাস্তার মোড়ে একা একা দাঁড়িয়ে থাকবেন না ।আপনি ভূল পথে যেতে পারেন। অর্থাত্ আপনাকে ভূল পথে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
¤ যদি দেখেন বাঁশঝাড়ের কোন একটা বাঁশ কোন কারণ ছাড়াই নীচু হয়ে আছে , তো ঐ বাঁশের উপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না ।
¤ রাতের বেলায় কোন লোকের পিছনে যদি অনেক গুলো কুকুর লাইন বেঁধে যেতে দেখেন, তো ঐ পথে ভূলেও যাবেন না। লোকের পিছে কুকুর ঘোরা ব্যাপারটা অনেক খারাপ কিছু নির্দেশ করে ।
¤ ঘুম ভাঙার পর যদি মনে হয় আপনার রুমে অদৃশ্য কেউ একজন আছে, তো সাহসিকতার সাথে ব্যাপারটা অবহেলা করার চেষ্টা করুন অথরা চোখ বন্ধ করে রুমের দরজা আন্দাজ করে বের হয়ে যান ।
¤ ঘরে প্রয়োজনের বাইরে বেশী আয়না রাখবেন না । রাতের বেলা আয়নাতে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে নিজেই ভয়
পেয়ে যেতে পারেন ।
¤ বাথরুমে গিয়ে যদি আপনার ভয় লাগা শুরু করে এবং আয়নার দিকে তাকাতে সাহস না হয়, তো বাথরুমের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকুন। আপনার ভয় কমে যাবে ।
¤ গ্রামে গভীর রাতে যদি আপনার নাম ধরে কেউ ডাকে, তো ভূলেও ঐ ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের
বাইরে যাবেন না। যদি বাইরে যান তো আরফিরে নাও আসতে পারেন । এই ডাক কে "নিশির ডাক" বলে ।
আপনার পরিচিত মানুষের গলা নকল করে এইটা ডাকা হবে। কখনো কখনো এই ডাক তিন চারজন লোকের ঝগড়ার মতো করেও হয় যাতে ঝগড়া শুনে আপনার বাইরে যাওয়ার আগ্রহ জন্মায় ।
¤ গভীর রাতে একা রাস্তায় হাঁটার সময় যদি দেখেন কালো কোন কুকুর অথবা বিড়াল আপনার বাম পাশ
থেকে আপনাকে ক্রস করার চেষ্টা করছে, তবে এটাকে কোনমতেই বাম পাশ দিয়ে ক্রস করতে দিবেন না । আপনার ক্ষতি হতে পারে ।
¤ রাতের বেলা একা হাটার সময় যদি বুঝতে পারেন কিছু একটা আপনার পিছে পিছে আসছে, অথচ আপনি দেখতে পাচ্ছেন না , তো সাহস সঞ্চয় করে কাছাকাছি কোন মুসলিম কবরস্থানে ঢুকে পড়েন। কবরস্থান খুবই পবিত্র জায়গা কারণ অনেক আল্লাহ ওয়ালাদের কবর এখানে থাকে।তাদের কবরের অছিলায় খারাপ কিছু
থেকে থাকলে তা আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা।
¤ পুরোনো খালি বাড়ি এবং শ্মশান ঘাট যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে খারাপ কিছুর উপস্থিতি বেশীর ভাগ সময়ই থাকে ।
¤ ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেননা। আপনি কি করছেন তা বোঝার আগেই আপনার অপূরণীয়
ক্ষতি হয়ে যাবে ।
¤ রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় অস্বাভাবিক কিছু দেখলে গাড়ি থামাবেন না।আপনার কৌতুহলই হয়তো আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
¤ আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, যে কোন ধরনের এবনরমাল অবস্থায় নিজের সৃষ্টিকর্তা কে ডাকুন। যতো খারাপ কিছুরই মুখোমুখি আপনি হন না কেন, সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কাছে তা কিছুই নয়। যারা মুসলিম, তারা বিপদে চারটা "কুল" দিয়ে সূরা অথবা "আয়াতুল কুরসী" পড়তে পারি।এতে বিপদ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৬০ বছর । এই ৬০ বছরে যে কোন ঘটনা ঘটার জন্য যে কোন দিনের
কয়েকটা মিনিটই যথেষ্ঠ।
ভয় কে জয় করতে শিখুন।
(সংগৃহীত)

0 comments:

Post a Comment

Popular Posts